আবুল হাসনাত শিহাবঃঃ আকস্মিক বন্যায় আক্রান্ত জগন্নাথপুর তথা সুনামগঞ্জবসী ঘর বাড়ী ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সহ বিত্তশালীদের দোতালা বাড়ী কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্টানে। চারদিকে যখন খাদ্য চিকিৎসার জন্য হাহাকার তখনি একজন হাতেমতায়ী যেন জগন্নাথপুরে আগমন ঘটল। বন্যার প্রথম দিন থেকেই যার ত্রান জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিটি গ্রাম প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে পৌছেচে।
বলছিলাম জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের পিরেরগাও এর পীরেরবাড়ির সন্তান সৈয়দ তালহা আলম এর কথা। সৈয়দ তালহা আলম বন্যার প্রথম দিন থেকে আজ অব্দি পর্যন্ত প্রায় নিজস্ব, নিজ দলের এবং শুভাকাঙ্খীদের অর্থায়নে ১ কোটি টাকার উপর ত্রান সামগ্রী জগন্নাথপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার বন্যা কবলিত অসহায় বন্যার্থদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী, চিকিৎসা সেবা ও কিছু জায়গায় নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন।
পাইলগাও ইউনিয়নের বাসিন্দা দিন মজুর আফতাব আলী বলেন, শুক্রবার যখন এ রাতে ঘরে পানি ঢুকল তখন দিশেহারা হয়ে পরলাম বিকালে স্থানীয় বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিলাম খাবার কিছুই জমা ছিলনা দোকান পাট প্রায় বন্ধ যে সমস্থ দোকান খোলা দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্য সমগ্রী কিনতে পারছিলনা রাতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে না খেয়েই ঘুমিয়েছি শনিবার সকালে তালহা ভাইর একজন কর্মী আমাদের মধ্যে চাল ঢাল, আলো, তেল মোমবাতি সহ নিত্য প্রয়োজনিয় জিনিষ দিয়ে যান। তখন মনে মনে বলেছিলাম যেন আল্লাহ রিজিক এর ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন তালহা ভাইর মাধ্যমে।
বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়া কলকলিয়া ইউনিয়নের আনছার আহমদ বলেন, সৈয়দ তালহা আলম এর ত্রান পেয়ে অত্যান্ত খুশি ত্রানের পাশাপাশি গৃহ নির্মানের জন্য নগদ অর্থ ও দিয়েছেন। তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন তা ভুলার মত নয়।
শুধু আফতাব বা আনছার নয় উপজেলার প্রায় ৬ হাজার পরিবারের মধ্যে একটু হাসি ফুটিয়েছেন সৈয়দ তালহা।
সৈয়দ তালহা আলম এর সাথে কথা বলে জানাযায়, গত করোনা কালিন সময় থেকে জগন্নাথপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে হতদরীদ্র মানুষকে সহায়তা করে আসছেন, মানুষের সেবাই তার ধর্ম তাই তিনি এই আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্ধ করেছেন। বিগত করোনার লোকডাউনে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার অনুদান দেন তিনি।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট
Leave a Reply