নিউজ ডেস্ক:: নতুন বছর অর্থাৎ ২০২২ সাল হবে পুঁজিবাজারসহ ব্যবসা বাণিজ্যের সম্ভাবনার। এ সময়ে বাজারে ভালো কিছু কোম্পানি তালিকাভুক্তির পাশাপাশি নতুন পুঁজিও আসবে। আসবে নতুন পণ্য ও প্রযুক্তি। যা বাজারকে সমৃদ্ধ করবে।
শেয়ারবাজারের রিপোর্টারদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) নতুন কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, মো. আবদুল হালিম, সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু আলী এবং সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল প্রমুখ।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তির জন্য ভালো পরিবেশ জরুরি। আমরা সেই পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করছি। শিগগিরই এর সুফল মিলবে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বেশ কিছু ভালো কোম্পানি বাজারে আসার উদ্যোগ নিয়েছে। কিছু কোম্পানি সম্পদ মূল্যায়নসহ আর্থিক রিপোর্ট তৈরি করছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে কোম্পানির গুনগতমান ভালো না হলে আমরা অনুমোদন দেবো না।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানি ভালো না হলে, দুর্বল কোম্পানি দিয়ে শুধু সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ নেই। এই বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, শুধু সিকিউরিটিজ নয়, আমরা পণ্যের বহুমূখীকরণে গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে আমরা বিভিন্ন দেশে রোডশো করছি। এতে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপারে বিদেশিদের ধারনা পাল্টে যাচ্ছে। বিনিয়োগের জন্য ইতিমধ্যে দুই একটি বাংলাদেশি কোম্পানির সঙ্গে বিদেশিরা যোগাযোগ করেছে। এক্ষেত্রে সরকারের ব্যবসাবান্ধব পলিসি সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। সবকিছু মিলে আমরা এই বাজারের জন্য সম্ভাবনা দেখছি। এ সময়ে আর্থিক রিপোর্টের গুনগতমান আরও বাড়াতে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের উপর জোর দেন তিনি।
ড. শেখ শামসুদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারের রিপোর্টের গুনগতমান বেড়েছে। এটিকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে হবে। বিশেষ শেয়ারবাজারের রিপোর্ট আন্তর্জাতিক মানে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কমিশন সব ধরনের সহায়তা দেবে।
জিয়াউর রহমান বলেন, বাজারের মূল সমস্যা ভালো কোম্পানির সংখ্যা কম। এই সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশি বিদেশি অনেক কোম্পানি রয়েছে, যারা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। এক্ষেত্রে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে, যারা বিশ্বের অন্যান্য দেশে তালিকাভুক্ত হলেও বাংলাদেশে এখনও তারা শেয়ারবাজারের বাইরে রয়েছে। এদেরকে বাজারে আনতে হবে। তিনি বলেন, ভালো কোম্পানির সংখ্যা বাড়লেই বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা আসবে। এতে কারসাজি কমে আসবে।
হাসান ইমাম রুবেল বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শেয়ারবাজারে রির্পোটিংয়ের মান বাড়াতে গত দুই বছরে আমরাও বেশ কিছু প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছিলাম। আগামীতে এই প্রশিক্ষণ আরও বাড়াতে হবে।
সুত্র: যুগান্তর
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট
Leave a Reply